চেয়ারম্যান
—————-x————-
রাজনৈতিক জীবন:
- ১৯৬১ সালে সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান।
- ১৯৬২-৬৩ সালে কলেজ ছাত্র অবস্থান গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনে বিশেষ ভুমিকা রাখেন।
- ১৯৬৪ সালে বৃহত্তর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন।
- ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
- ১৯৬৬ সালে জেলে থাকা অবস্থায় বৃহত্তর খুলনা জেলার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
- ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।
- ১৯৬৯ সালে আওয়ামীলীগের স্বেচ্চাসেবক বাহিনীর খুলনা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
- ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনায় বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন।
- ৪দলীয় জোট সরকারের চরম দুঃশাসনের সেই ক্রান্তিকালে তিনি খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই দুঃসময়ে তার দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সংগঠিত হয় এবং জোট সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। ২০০৫ সালে বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে উপস্থিত সকল কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত সমর্থনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ঐ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক কারা জীবন:
১৯৬৬ থেকে ৬৭ সাল পর্যন্ত ৬ দফা আন্দোলনে তিনি কারারুদ্ধ থাকেন। ১৯৬২ থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ১০/১১ বার কারারুদ্ধ হন। এই সময় তার দূর্লভ সৌভাগ্য হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগে দীর্ঘ সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একত্রে কারাবাসের।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ :
মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য একথা তিনি স্বাধীনতা ঘোষনার পূর্বেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ৩রা মার্চ ৭১ খুলনায় গুলিতে ৩ জন নিহত হন। বিক্ষুদ্ধ জনতাকে সংঘবদ্ধ করে বন্দুকের দোকান লুট করে ২৭টি অস্ত্র যোগাড়ের মধ্য দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক ও জয় বাংলা বাহিনীর মিলিট্যান্ট কর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিবাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ১৭ মার্চ ১৯৭১ খুলনা পিকচার প্যালেস মোড়ে তার নেতৃত্বে পাকবাহিনীর উপর হামলা পরিচালিত হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যার শুরুর পূর্ব থেকে সংগঠিত বাহিনী নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধে রুপদানে নেতৃত্ব প্রদান করেন। অগ্রণী যোদ্ধাদের নিয়ে ২৬ মার্চ বিপ্লবী পরিষদ গঠন করেন এবং পরিষদের প্রধান নির্বাচিত হন। ২৬ মার্চ রাতে পাক আর্মিদের প্রধান ঘাটি সার্কিট হাউস আক্রমন করেন। শুরু হয় তার মুক্তিযোদ্ধা জীবন। ৩রা এপ্রিল ঐতিহাসিক গল্লামারী বেতার কেন্দ্র আক্রমনে তার ছিল কেন্দ্রীয় ভুমিকা। ২৪ এপ্রিল বাগেরহাটে পাক আর্মি প্রবেশের সময় পঁচাদিঘীর পাড়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব প্রদান করেন। ৩০ এপ্রিল তৎকালীন বাগেরহাট মহাকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অজিয়র রহমানকে মুক্ত করতে বাগেরহাট থানা আক্রমনে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রীয় নেতাদের সংগে যোগাযোগের জন্য ভারত গমন করেন। ভারত গিয়ে মুজিব বাহিনী গঠনে খুলনা অঞ্চলের নেতৃত্ব দেন। তিনি বৃহত্তর খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তার নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সাতক্ষীরা, মোংলা সহ তিনি ৮০ টি ক্যাম্প গঠন করেন। বহু সম্মুখ যুদ্ধে পাক আর্মি ও রাজাকারদের পরাজিত করে এক বিশাল মুক্ত এলাকা গড়ে তোলেন। তিনি যুদ্ধ সাধারন মানুষকে সম্পৃক্ত করতে তথা যুদ্ধকে জনযুদ্ধে রুপ দিতে জনসচেতনতা মুলক রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীকে গণদাবীতে রুপায়িত করতে বহু গণসচেতনতা মুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তার বিশাল ভূমিকাসুধী মহলে প্রসংশিত হয়েছে।
জীবন বৃত্তান্ত
নাম | : | শেখ কামরুজ্জামান টুকু |
পিতা | : | মৃত: এস.এম বদিউজ্জামান |
মাতা | : | মৃত: রৌফন নেছা |
স্ত্রী | : | শামসুন্নাহার |
বর্তমান ঠিকানা | : | ৩ নং টিবি ক্রস রোড, খুলনা |
স্থায়ী ঠিকানা | : | গ্রাম: সুনগর, ডাকঘর: রাখালগাছি, উপজেলা ও জেলা: বাগেরহাট |
ফোন নং | : | ০৪১-৭২১৭০৬ (বাসা) ০৪৬৮-৬৪০০০(অফিস) |
মোবাইল নং | : | ০১৭১১-৩২০০৮৩ |
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
পরীক্ষার নাম | স্কুল/কলেজ | পাশের সন | বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় |
ম্যাট্রিক | লোহাগড়া লক্ষিপাশা হাইস্কুল, নড়াইল | ১৯৬২ | যশোর |
আই.কম | পি.সি কলেজ বাগেরহাট | ১৯৬৪ | যশোর |
বি.কম | আযম খান কমার্স কলেজ, খুলনা | ১৯৬৬ | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
.
.